উদ্যোক্তা যদি ডিজিটাল না হয় তাহলে মার্কেট টেস্ট অনেক কঠিন হয়ে যায়। কারণ আপনি হইতো দেখছেন আপনার বন্ধুর দোকানে ডিম অনেক সেল হচ্ছে – সেইটা টেস্ট রেসাল্ট মনে করে ডিমের দোকান দিয়ে দেখলেন আপনার সেল হচ্ছে না। তখন মাথায় হা ারণ অলরেডি আপনি অনেক ইনভেস্ট করে ফেলেছেন।
ডিজিটাল উদ্যোক্তাতে এটাই সব থেকে বড় সুবিধা। কোন ইনভেস্ট ছাড়ায় আপনি মার্কেট টেস্ট করতে পারবেন।
কিভাবে ?
ধরুন আপনার আইডিয়া হচ্ছে — আপনার এলাকায় একেবারে খাঁটি ঘি পাওয়া যায়। যা অন্য জায়গায় পাওয়া কঠিন। এবং মানুষ খাঁটি ঘি একটু দাম বেশী দিয়ে হলেও কিনতে চায়। আপনি খাঁটি ঘি অনলাইনে সেল করবেন।
খুব নরমাল ভাবে আপনি ফ্রি মার্কেট টেস্ট করবেন।
প্রথম —
নিজে গিয়ে খাঁটি ঘির কিছু ভালো ফটো তুলবেন। এবং আপনি যে কয়টা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন সব গুলো তে ফটোসহ পোস্ট দিতে পারেন।
এটা দুই ভাবেই হতে পারে –
- ১) ডাইরেক্ট পোস্ট — আমার নিজের এলাকায় খাঁটি ঘি পাওয়া যায় – কে কে ঘি পছন্দ করেন? খাঁটি ঘি কারো লাগলে জানাবেন।
- ২) ইনডাইরেক্ট পোস্ট – একেবারে খাঁটি ঘি দিয়ে খেয়ে উঠলাম। হাতে তৈরী করা খাঁটি ঘি যা আমাদের এলাকায় পাওয়া যায়।
যদি বড় কোন গ্রুপে জইন থাকেন তাহলে সেখানেও গল্প আকারে পোস্ট করতে পারেন।
শেষে দেখুন মানুষের আগ্রহ কেমন। কমেন্ট এবং ইনবক্সে খেয়াল রাখুন। যদি দেখেন অনেকে চাচ্ছে এবং কিনবে বলছে তাহলে টেস্ট ভালো – কিন্তু তেমন সারা না পেলে অন্য কিছু ভাবুন। ( তবে এখানে কিছু ব্যপার মাথায় রাখতে হবে কাস্টমার বুঝে গ্রুপে পোস্ট করতে হবে – যে মেয়েদের প্রোডাক্ট ছেলেদের গ্রুপে দিলে হবে না )
দ্বিতীয় —
পরিচিত আসে পাশের অনেককে ব্যপারটা জিজ্ঞেস করতে পারেন ডাইরেক্টলি – অথবা রিস্ক মনে হলে ইনডাইরেক্টলি। তাতে এক রকমের আইডিয়া পেয়ে যাবেন। তবে সার্ভিসের ক্ষেত্রে এটা জরুরি।
তৃতীয় –
যদি ফেসবুক মার্কেটিং জানা থাকে তাহলে খুব বেশি হলে $১০ এর একটা টেস্ট করে দেখতে পারেন – এতে রিয়্যাল রেসাল্ট পাবেন – ( তবে এটা অবশ্য ফ্রী না )
টেস্ট করার পর যদি পজিটিভ মনে হয় তাহলেই কেবল কিছু ইনভেস্টমেন্টে যাবেন। হালকা রিস্ক নিতে হবে – যেমন, অল্প কিছু প্রোডাক্ট কিনে দেখা এবং মার্কেটিং ইনভেস্ট।