আপনার পণ্য যত ভালোই হোক যদি বিক্রয় না হয় তাহলে সব বৃথা – আর বিক্রয়ের ১ম শর্ত মানুষ জানা – মানুষকে জানাতে হতে মার্কেটিং করতেই হবে।
তাই – ভালো মার্কেটিং ছাড়া অনেক ভালো উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখেনি। এ বিষয়ে সব উদ্যোক্তার জানা খুব প্রয়োজন।
আজ আলোচনা করবো – কিভাবে ফ্রীতে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং করবো?
ফ্রি তো ফ্রি – এটার রেসাল্ট অনেক টায় ডিপেন্ড করে অনেক কিছুর উপর। তবু শুরুর দিকে যেহেতু আমাদের ইনভেস্ট কম থাকে তাই ফ্রি তেই শুরু করা যেতেই পারে।
ফ্রি মার্কেটিং ০০১ —
আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস যে সমস্যার সমাধান করছে সেই সমাধান কার দরকার? তারা কোথায় থাকে ? অনলাইনে তাদের কোন নির্দিস্ট গ্রুপ আছে কি?
যেমন আপনি বেবি একটা ইউনিক প্রোডাক্ট সেল করছেন। তাহলে আপনি কোথায় এটা ফ্রি মার্কেটিং করবেন?
১ম দেখুন ফেসবুকে বিবাহিত মেয়েদের অনেক গ্রুপ আছে – গৃহিণী গ্রুপ আরও অনেকে।
আপনি সরাসরি গিয়ে প্রোডাক্টের ছবি দিয়ে পোষ্ট করবেন না। এটাকে বলে স্পামিং। যাকে সবাই অপছন্দ করে।
ফ্রি মার্কেটিং করলে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে স্টোরি বা কন্টেন্টের দিকে।
তাই আপনাকে প্রথম গ্রুপের এডমিনকে ম্যাসেজ করতে হবে এবং তাকে পুরা ব্যপারটা বলতে হবে – যে আপনি একজন উদ্যোক্তা এবং তার গ্রুপে যারা আছেন তাদের কে আপনি কোন ভালো অফার দিতে চান ইত্যাদি – এভাবে ১০ টা অ্যাডমিনকে ম্যসেজ করলে ৩-৫ জন পজিটিভ ভাবেই নেয়।
পোস্ট কিভাবে করবেন –
ডাইরেক্ট করতে পারেন – প্রোডাক্ট এর বেনিফিট লিখে অফার দিতে পারেন – যারা এই গ্রুপের মেম্বার তাদের জন্য স্পেশাল ডিস্কাউন্ট। অথবা অন্য কোন ভালো অফার। আপনার কন্টাক্ট নাম্বার এবং পেজ লিঙ্ক দিয়ে দিন।
ইনডাইরেক্ট — ভালো একটা গল্প লিখতে পারেন। যেমন, এই প্রোডাক্ট ব্যবহার করে আপনার বেবি অনেক খুশি – এবং বেবি সহ কিছু পিক ও দিতে পারেন। শেষ পেজ লিঙ্ক দিয়ে রিকমেন্ট করতে পারেন।
যদি টার্গেটের গ্রুপ খুঁজে না পেলে – নরমাল যে সব গ্রুপ বড় সে সব গ্রুপে এডমিনের সাথে কথা বলে চেষ্টা করুন – আশা করি ভালো রেসাল্ট আসবে।
মার্কেটিং ক্যারিয়ারের শুরুতে কিছু ফ্রি মার্কেটিং করেছি – কিন্তু নিজে পছন্দ করি পেইড মার্কেটিং – পড়াশুনা অবশ্য ফ্রীতে কম করা হয় না।